উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ০৪/০৭/২০২৪ ৮:২৭ পিএম , আপডেট: ০৪/০৭/২০২৪ ৮:২৯ পিএম

মোবাইল ফোনে কল ড্রপ নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা এরই মধ্যে কল ড্রপ ইস্যুতে গ্রামীণফোনকে কারণ দর্শাও নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে। শুধু গ্রামীণফোনই নয়, অন্য অপারেটরদের কল ড্রপও মনিটরিং করা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন:: প্রযুক্তির সহায়তায় দেশে ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরী করা হবে- কক্সবাজারে প্রতিমন্ত্রী পলক

সোমবার (১ জুলাই) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিটিআরসিতে এক বৈঠকে মোবাইল অপারেটরদের মান্নোয়ন সংক্রান্ত এক বৈঠকে আগামী ৬ মাসের মধ্যে গ্রাহক পর্যায়ে কল ড্রপের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমিয়ে আনতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী কল ড্রপের বিষয়ে গ্রাহক অসন্তোষের কথা উল্লেখ করেন এবং এ বিষয়ে কোনো মোবাইল অপারেটরকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান। এজন্য ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি জরিমানা আদায়ের ঘোষণা দেন পলক

আরও পড়ুন:: রোহিঙ্গা সমস্যার জন্যও ফেসবুকের প্রচারণাকে দায়ী করলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

এরই মধ্যে প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কক্সবাজার বিমানবন্দরে নিজে উপস্থিত থেকে ড্রাইভ টেস্ট মনিটরিং করেন।

জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে দেশব্যাপী টেস্ট ড্রাইভ শুরু হয়ে গেছে। ড্রাইভ টেস্টের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অপারেটরদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিনিউকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) স্বীকৃত কল ড্রপের হার ৩ শতাংশ বা এর নিচে। সম্প্রতি, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির তথ্যমতে, গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক সবারই কল ড্রপ ওই সীমার নিচে রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী কল ড্রপের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে উল্লেখ করে বলেন, মনিটরিং এবং অডিট নিয়মিত করা হবে। বেঞ্চমার্ক যাই থাকুক, কল ড্রপ রেট কাগজে-কলমে যাই থাকুক, আমরা গ্রাহক সন্তোষ্টির ওপর জোর দেবো।

সাধারণত মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কের কারণে কল ড্রপ হয়ে থাকে। মূলত, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, নেটওয়ার্কের অপ্রতুলতা, স্প্রেকট্রাম স্বল্পতা, এন্টেনা ও রেডিওতে ক্যাবলের কানেকশন দুর্বলতার কারণে কল ড্রপ হয়ে থাকে।

তবে শুধুমাত্র এসব কারণেই অনেক সময় কল ড্রপের জন্য এককভাবে দায়ী থাকে না। হ্যান্ডসেট সমস্যা, ভূগর্ভস্থ ক্যাবল কাটা পড়া বা এর মানের অবনতি এবং টাওয়ার কোম্পানির সেবার মানের কমতি থাকলেও এই সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে ঢাকা শহরে উঁচু ভবন, টাওয়ার রেডিয়েশন নিয়ে বিভ্রান্তি থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপনে বাধা, অবৈধ জ্যামার, রিপিটার, বুস্টারের কারণেই নেটওয়ার্ক বাধাগ্রস্ত হয়।

২০২২ সালে জাতীয় সংসদে তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার কল ড্রপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সংসদে কল ড্রপ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন তথ্যপ্রযুক্তি

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার ...

কক্সবাজারে পুলিশের অভিযানকালে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে জুয়েলার্স মালিকের মৃত্যু!

কক্সবাজারের টেকনাফে বৃদ্ধা নারীকে হত্যার পর বস্তাবন্ধি করে খালে ফেলে দেয়ার ঘটনার প্রধান আসামি ছৈয়দ ...

উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জনের মনোনয়নপত্র জমা

আগামী ২৭ জুলাই উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ...

রোহিঙ্গা সমস্যার জন্যও ফেসবুকের প্রচারণাকে দায়ী করলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংঘটিত অপকর্মের জন্য ফেসবুক, এক্স, হোয়াটসঅ্যাপ ও টিকটককে ক্রিমিনাল বলে মন্তব্য করলেন ...